গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিন ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন পূবালী ব্যাংকের মো. মনিরুল ইসলাম (সুমন), সোনালী ব্যাংকের অসীম কুমার দাস এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মো. সোহেল আকন্দ। অন্যরা হলেন জহিরুল ইসলাম, সাদ্দাতুর রহমান ওরফে সোহান, মো. নাদিমুল ইসলাম, মো. এনামুল হক ওরফে শিশির, শেখ তারিকুজ্জামান, অর্ণব চক্রবর্তী ও আরিফুর রহমান ওরফে শাহিন। তাঁদের কাছ থেকে ছোট ব্যাটারি, ইয়ার ফোনসহ ১৩টি বিশেষ ধরনের ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।

এ নিয়ে আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন এ তথ্য জানান। এ সময় ডিবির উত্তরের উপকমিশনার মশিউর রহমান ও ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা জানান, পুলকেশ দাস ওরফে বাচ্চু এই চক্রের মূল হোতা। তিনি তাঁর অন্যতম সহযোগী কার্জনের সহযোগিতায় এই বিশেষ ডিভাইসগুলো সংগ্রহ করেন। অন্যরা পরীক্ষার্থী সংগ্রহ ও তাদের সঙ্গে চুক্তি করতেন। নির্দিষ্ট পরীক্ষার দিন চুক্তিবদ্ধ পরীক্ষার্থীদের কানে ও হাতে বিশেষ কায়দায় এই ইলেকট্রনিক ডিভাইসটি স্থাপন করা হয়। এই ডিভাইসে সিম লাগানো থাকে। এর মাধ্যমে পরীক্ষার্থী কেবল কল রিসিভ করতে পারে কিন্তু কোনো কল করতে পারে না। এই চক্রের সদস্যরা পরীক্ষার হলের বাইরে থেকে ডিভাইসে কল করে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করেন। এরপর দ্রুত উত্তর বের করে তা সরবরাহ করতেন। সাত-আট বছর ধরে তাঁরা এ কাজ করে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩৫-৪০ হাজার থেকে ১০-১২ লাখ টাকা পর্যন্ত নেন। ছাত্রজীবন থেকে তাঁরা এ অপরাধের সঙ্গ জড়িত বলে জানান।

আবদুল বাতেন জানান, তাঁরা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর সমাধানের কৌশল বের করার কাজ করছিলেন।