রিপন ও তার প্রেমিকা প্রীতি কনা বিশ্বাস (২৪) দুজনই মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে চাকরি করতেন।

রাজাপুর পুলিশ ক্যাম্পের উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক হাওলাদার জানান, রিপন ও প্রীতির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ও পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিলো। এর জেরে এক মাস আগে রিপন প্রীতির মোবাইল নম্বরটি ব্লক করে দেন। এর জেরে ডিটারজেন্ট পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রীতি। দীর্ঘ ২৮ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে গত ২৩ এপ্রিল তিনি মারা যান।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রিপন নিজ গ্রামের মাঠের পাশের একটি গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ সময় তার পকেটে একটি টিঠি পাওয়া যায়। চিঠিতে তিনি লেখিছেন ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয় ও জান আমাকে ক্ষমা করো।’ ধারণা করা যাচ্ছে প্রেমিকার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

পরে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় শশ্মানে রিপনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান এসআই আব্দুল খালেক।

এ বিষয়ে রিপনের বাবা নির্মল শিকদার ও প্রীতির বাবা অমল বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, রিপন ও প্রীতির মধ্যে সম্পর্ক ছিলো। পারিবারিকভাবে আগামী শ্রাবন মাসে তাদের বিয়ের দিন ঠিক করা হয়েছিলো। তবুও কেন তারা এমন করলো বুঝতে পারছি না।