হবিগঞ্জ অফিস: লাখাই উপজেরার মুড়িয়াউক গ্রামে দুই দল লোকের সংঘর্ষে আহত কুদ্দুছ মোল্লার (৬৫) মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত নওয়াব আলী মোল্লার পুত্র।
তার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা বিরাজ করে। এ ঘটনায় নূরে আলম (৫৫) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক নূর মুড়িয়াউক গ্রামের মৃত শারদ আলীর পুত্র ও মুড়িয়াউক ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুক মিয়ার পক্ষের লোক।
প্রসঙ্গত উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান মোল্লা ও মুড়িয়াউক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুক মিয়ার সাথে ইউনিয়ন নির্বাচনের পর থেকে বিরোধ চলে আসছে।
এর জের ধরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আব্দুল কদ্দুছসহ ২০ জন আহত হয়। গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনার জের ধরে আবারো সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয় উভয়পক্ষ। এ সময় পুলিশ সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নুরুজ্জামান মোল্লাসহ উভয়পক্ষের ৭ জনকে আটক করে। পরে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এদিকে আহত অবস্থায় আব্দুল কুদ্দুছকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল তিনি মারা যান।
লাখাই থানার (ওসি) বজলার রহমান বলেন, কুদ্দুছ মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ অনুসারে অপর আসামীদের ধরতে অভিযান চলবে। নিহত কুদ্দুছের পরিবারের সূত্র জানায়, শাহবাগ থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে প্রেরণ করেছে।