লোকালয় ডেস্কঃ এবারের বিশ্বকাপে ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে আছেন সাকিব আল হাসান। প্রতিনিয়ত ব্যাটে-বলে রেকর্ড বইয়ে লিখে যাচ্ছেন নতুন পাতা। সঙ্গে হুমকি ছড়িয়ে দিচ্ছেন প্রতিপক্ষ শিবিরেও। কাল নটিংহামে এই বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ থাকায় সাকিবকে ঘিরে বেশ সতর্ক দেখা যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকেও। এক সাকিবের ঘূর্ণি সামলাতেই আলাদা করে প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
স্বাভাবিকভাবে সাকিবকে ভয় পাওয়ারই কথা অস্ট্রেলিয়ার। ঢাকা টেস্টে দুই বছর আগে সাকিবের ঘূর্ণি ফাঁদে পা দিয়েই হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হয়েছিল। আর বাংলাদেশ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ। তাই সাকিবকে সামলানোর আগে বামহাতি স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগারের দ্বারস্থ হয়েছে অজিরা।
বর্তমানে ইংল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের হয়ে সিরিজ খেলতে সেখানে আছেন অ্যাগার। গত বছর ইংল্যান্ড সফরে অজিদের প্রথম পছন্দের স্পিনারও ছিলেন। তাই সাকিবকে সামলানোর কৌশল হিসেবেই নেটে ডেকে আনা হয়েছে অ্যাগারকে।
আইসিসির দেওয়া কমলা ক্যাপ পড়ে ফিঞ্চ-স্মিথ-ওয়ার্নারদের বোলিং করে গেছেন তিনি। লক্ষ্য একটাই সাকিবের ঘূর্ণি জাল এড়িয়ে চলবেন তারা! এই সময় স্পিন বোলিংয়ে ছিলেন নাথান লায়ন, অ্যাডাম জাম্পাও।
বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত স্পিন বোলিং কতটা বিষ ছড়াতে পারে তা দেখা গেছে প্রতিটি ম্যাচেই। মেহেদী হাসান মিরাজের রান আটকে রাখার কৌশলও খুব কাজে দিচ্ছে প্রতিটি ম্যাচে। বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ সামলাতে তাই বাধ্য হয়ে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকেও।
এতদিন ভারতীয় স্পিনার প্রদীপ সাহু ও কেকে জিয়াসকে সঙ্গে নিয়ে সফর করে বেরিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তারা দেশে ফিরে যাওয়ায় এবার অ্যাগারকে নেটে ডেকে আনা হলো।
অস্ট্রেলিয়া কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারও জানালেন সাকিবকে নিয়ে তারা কেন এত সতর্ক, ‘বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন সাকিব। একই সঙ্গে বামহাতি স্পিনারও। তাই অ্যাস্টনকে পেয়ে আমাদের খুব দারুণ লাগছে। গত বছর সে অস্ট্রেলিয়া দলের হয়েই খেলেছে। আমাদের মৌলিক নীতির জায়গায় পেশাদারিত্বটা সর্বাগ্রে। সেই হিসেবে অ্যাগারকে এনে তাকে স্পিনার হিসেবে কাজে লাগানোতে আমাদের তা বাড়তি সুবিধাই দেবে।’