জুয়েল চৌধুরীঃ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাক্ষণডুরা ইউনিয়নের বিশাউড়া গ্রামে দিন মজুরের কন্যা কে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করেছে এক লম্পট। এ ঘটনায় ওই এলাকায় সর্বত্র আলোচনার ঝড় বইছে। এদিকে, এ ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর আত্মগোপনে চলে গেছে ওই লম্পট। অপরদিকে, এ ঘটনায় জড়িত লম্পটকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্ঠান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
জানা যায়, ওই গ্রামের দিন মজুর মোঃ আলমাস মিয়ার জনৈক কিশোরী কন্যাকে বেশ কিছু দিন যাবত প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল একই গ্রামের তৌহিদ মিয়ার পুত্র লম্পট রাসেল মিয়া। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই কিশোরীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সে। এরই জেরধরে গত ৪ ফেব্র“য়ারী রাতে ওই কিশোরীকে একা পেয়ে অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। এসময় সে এ ঘটনা যাতে কাউকে না বলে সে জন্য তাকে হুমকি দিয়ে যায়। এর পর সুযোগ বুঝে আরো বেশ কয়েকবার সে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে সর্বত্র চলতে থাকে আলোচনা ও সমালোচনা। ধর্ষণের ঘটনাটি দামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লাগে ওই লম্পটের আত্মীয় স্বজন। মাত্র ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি রফাদফার চেষ্ঠা চালায় তারা। এতে ওই দিনমজুর রাজি না হওয়ায় তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দামকিও দেয়া হয়।
পরে নিরুপায় হয়ে ওই কিশোরী পিতা মোঃ আলমাস মিয়া বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ হবিগঞ্জে একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি দায়েরের পর আদালত আমলে নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশকে আইনত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।
এলাকার বিশিষ্ঠ মুরুব্বি মোঃ নাছির মিয়া, হাদিস মিয়া, দরস মিয়া, মোঃ ছুফু খান চৌধুরীসহ একাধিক লোকজন জানান, আমাদের এলাকায় এরকম ধর্ষণের ঘটনা নজির বিহীন। আমরা চাই দ্রুত প্রশাসন যেন ওই লম্পটকে আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তি নিশ্চিত করে।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আনিছুজ্জামান জানান, বিষয়টি শুণেছি। তবে এখনও আদালতের কাগজপত্র থানায় আসেনি। কাগজপত্র আসার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।