লোকালয় ২৪

পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা হয়ে গেলেন ‘পীর’

পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা হয়ে গেলেন ‘পীর’

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে পীর সেজে ধর্মকে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে এক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তার কাছে জিম্মি দশায় আছেন তার ৯০ বছরের বৃদ্ধ মা। চলাচলের অযোগ্য মাকে কথিত ভন্ডপীর বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে আসছে। তিনি নামাজ রোজাকে বিশ্বাস করেননা। তিনি বিভিন্ন অঞ্চলের লোকের সাথে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

কথিত ভন্ড পীর খন্দকার আনোয়ার হোসেন (৬০) ওরফে দয়াল বাবা আনোয়ার শাহ্ টাঙ্গাইলের নাগরপুরের জগতলা এলাকার মৃত খন্দকার কেরামত আলীর ছেলে। তিনি সর্বশেষ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক থেকে ২০১৮ সালে অবসরে আসেন। এলাকায় এসেই তিনি পীর বনে যান।

তার ছোট ভাই অহিদের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমার ভাই হঠাৎ করেই কিভাবে পীর বনে গেল আমি কিছুই জানিনা। তার শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড ও নারীদের নির্জন কক্ষে তালিমের নামে অসামাজিক কার্যকলাপের বিরোধিতা করতে গিয়ে আমি বর্তমানে বাড়ী ছাড়াবস্থায় আছি। আমার ও আমার মৃত বড় ভাইয়ের বাড়ীর জায়গা বেদখলসহ আমার ফেন্সি কবুতরের খামারটিও ধ্বংশ করে দিয়েছে।

আফজাল হোসেন নামে কথিত পীরের গ্রামের ইউপি সদস্য বলেন, আনোয়ার কিভাবে পীর হয়ে গেল, আমার এলাকার কেউ জানেনা। তবে এ এলাকার কাউকে ওনার দরবারে যেতে দেখিনা। আনোয়ার যেসব এলাকায় চাকরি করতো ঐসব এলাকার লোকজনই বেশি আসে। আমরা কিছু বলতে পারিনা তার কারণ তিনি অনেক প্রভাবশালী।

সরেজমিনে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ঘরের ভিতরে একটি ব্যানারে লেখা শাহান শাহ্ বাবা রাহাত আলী শাহ্র আধ্যাধিক ও রুহানী সন্তান, দয়াল বাবা আনোয়ার শাহ্ জগতলা দরবার-এ-এলাহী ও বাংলাদেশ বেতারের গীতিকার দয়াল বাবা আনোয়ার শাহ্।

ঘরের এক কোনে তার বৃদ্ধা মা জ¦রে শীতে কাতরাচ্ছেন দেখার কেউ নেই। তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয় প্রতিবেদক কারণ বয়সের ভারে জরাজীর্ণ ও অসুস্থতার কারণে ন্যুইয়ে পড়েছেন তিনি। এসময় কথিত ভন্ড পীরের সাথে একই গ্রামের তপনের স্ত্রী নাছিমাকেও দেখা যায়।

এ বিষয়ে খন্দকার আনোয়ার হোসেন ওরফে আনোয়ার শাহ্ বলেন, আমার কাছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ আসে। কারও কাছ থেকে খেলাফতি নেইনি, তবে আমি এখন পীর। প্রতি বছর ১০ মহরম আমি ওরশ পালন করে থাকি।