লোকালয় ২৪

নবীগঞ্জের কুখ্যাত সন্ত্রাসী নাহিদ ৩ দিনের রিমান্ডে

নবীগঞ্জের কুখ্যাত সন্ত্রাসী নাহিদ ৩ দিনের রিমান্ডে

নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জের  দূর্গম পাহাড় থেকে গ্রেফতারকৃত নবীগঞ্জের উত্তর পূর্বাঞ্চলের ভূমিদস্যু,  ত্রাস ও কিশোরী ধর্ষক নুরুল ইসলাম নাহিদের ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর  করেছে  আদালত। জানাযায়,
নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘল ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের জনৈক  এক কিশোরীকে দোকান ঘরে প্রায় ৭ ঘন্টা আটক রেখে কয়েক দফা জোর পূর্বক ধর্ষণের ঘটনায়  উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কুখ্যাত ভুমিদস্যু, সন্ত্রাসী ও বহুল আলোচিত কুকর্মের হুতা দূর্বৃত্ত নুরুল ইসলাম নাহিদ নামের লম্পটকে  ৩ দিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশকে অনুমতি দিয়েছে আদালত। গত বৃহস্পতিবার
 হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট  আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নবীগঞ্জ থানার ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ মোঃ শামছউদ্দীন খাঁন আসামী  নাহিদের  ৭দিনের রিমান্ড আবেদন প্রার্থনা করলে এরই  প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত আসামী নুরুল ইসলাম নাহিদের ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। উল্লেখ্যঃ নবীগঞ্জের
   দূর্গম পাহাড়ী অঞ্চলে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ মোঃ সামছউদ্দীন খান সহ একদল পুলিশ পানিউমদা ইউনিয়নের টেকইয়া গ্রামের মিন্টু মিয়ার নির্জন বাড়ী থেকে নাহিদকে গত বুধবার দিবাগত গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে   গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। পুলিশের হাতে  গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসী ও ধর্ষক নুরুল ইসলাম   নাহিদ সে নবীগঞ্জ  উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের মৃত ওয়াব উল্লার পুত্র।মামলার এজাহারে উল্লেখ ও ধর্ষিতার পারিবারিক সূত্রে জানাযায়,   উপজেলার দাউদপুর গ্রামের দিনমজুর  গোলজার মিয়ার  কিশোরী কন্যা  জনৈক (১৪)কে গত ১৬ জুলাই  সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৭ঘন্টা  অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম নাহিদ তার একটি দোকান ঘরের বাহিরে তালাবদ্ধ করে কিশোরীকে জোরপূর্বক আটকে রেখে  হাত-পা মুখ বেধে  কয়েক দফা ধর্ষন করে। এঘটনার বর্ণণা দেয়ে  নির্যাতিতা লিমা আক্তার সে  জানায়, তার বাবা পেশায় একজন দিন মজুর, সে উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের গোলজার মিয়ার কন্যা ঘটনার দিন  দুপুর ১ টার দিকে লিমা আক্তার সে তার এক ছোট ভাই  নুরুজ্জামান (৬) নামের শিশুকে খেলার মাঠ থেকে বাড়ীতে আনার জন্য যাওয়ার পথিমধ্যে একই গ্রামের মৃত ওহাব উল্লার পুত্র নুরুল ইসলাম নাহিদের দোকানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নাহিদের ভাবী আংছার মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগম তাকে ডেকে নিয়ে যায়, দোকানের পাশে। লিমা সেখানে যাওয়ার পরেই তার ভাবী সেখান থেকে চলে যায়, তার ভাবী সু-কৌশলে  চলে যাওয়ার পরপরই সুচতুর নাহিদ দোকান ঘরের বাহিরে তালাবদ্ধ করে ঘরের ভেতরে লিমাকে ঝাপটে ধরে হাত পা, মুখ বেঁধে জিম্মি করে রাখে।
পরে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে  জোর পূর্বক মুখ বেধে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। এদিকে লিমাকে ৭ ঘন্টা ধরে বাড়িতে না পেয়ে তার মা বাবা ও আত্মীয় স্বজন পাগলের ন্যায় সাড়া গ্রাম তথা আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ খবর নিয়েও তার কোন সন্ধান না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। অপর দিকে সন্ধ্যা রাত অনুমান ৮টার দিকে লিমা নাহিদের হাতে পায়ে ধরে জীবন ভিক্ষা চেয়ে ও কৌশলে দৌড়াইয়া পালিয়ে প্রতিবেশী সাংবাদিক এম, মুজিবুর রহমানের বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
তখনকার সময় সাংবাদিক এম, মুজিবুর রহমান বাড়িতে ছিলেননা কর্মস্থল নবীগঞ্জে ছিলেন। তাঁর মা ও বোনেরা লিমা তাদের বাড়িতে এসে আশ্রয় নিয়েছে বলে তাকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানালে ধর্ষিতা কিশোরীর  বাবা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ফখরুল ইসলাম জুয়েলসহ তাদের আত্মীয় স্বজনকে খবর দেন সাংবাদিক এম, মুজিবুর রহমান।
পরে লিমার পিতার কাছে লিমাকে সমজিয়ে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত গ্রামবাসী সবার সামনে তার ধর্ষণের ঘটনার বিবরণ প্রকাশ করে লিমা আক্তার। এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিলে ভিকটিমকে  একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা রেকর্ড ভুক্ত করা হয়।
উক্ত মামলা এফ আই আর ভুক্ত হওয়ার পর থেকেই প্রায় ৪মাস দেশের বিভিন্ন স্খানে পালিয়ে বেড়ায় লম্পট নাহিদ।
অবশেষে গত বুধবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা  ন ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ  একদল পুলিশ নিয়ে বিশেষ  অভিযান চালান   নবীগঞ্জের দূর্গম পাহাড়ী অঞ্চলের  পানিউমদা ইউনিয়নের টেকইয়া গ্রামে। সেখানে  দূর্গম  পাহাড়ের উপর টিলায় মিন্টু মিয়ার  বাড়ী থেকে নাহিদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
অভিযুক্ত  নুরুল ইসলাম নাহিদের  বিরুদ্ধে ধর্ষণ, মাদক, চুরি রাহাজানি ভুমি জবর দখল ও  প্রতারণাসহ রয়েছে আরও অহরহ অভিযোগ।