যশোরের মণিরামপুরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গৃহকর্তাকে বেঁধে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৯টার দিকে মণিরামপুর পৌর শহরের ফায়ার স্টেশনের উত্তর পাশে তিনতলা একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তিন ছিনতাইকারী বাড়ির মালিক জাফর আলীকে বেঁধে পিস্তল ও চাকু দেখিয়ে একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে।জাফর আলী বলেন, ‘গতকাল রবিবার রাতে বাড়ির দোতলার বাসায় স্ত্রী ও মেয়েসহ আমি ছিলাম। ভবনের প্রধান ফটক ও বাসার দরজা খোলা ছিল। হঠাৎ তিন যুবক ঘরে ঢোকে। তাদের মধ্যে একজন চাকু ও পিস্তল বের করে আমাদের জিম্মি করে ফেলে। এক পর্যায়ে তারা আমার দুই হাত বেঁধে ফেলে। তিনি আরো বলেন, ‘ঘরে টাকা-পয়সা তেমন ছিল না। ওরা ১০ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের হার নিয়ে একটি মোটরসাইকেলে করে চলে গেছে। ছিনতাইকারীরা চলে যাওয়ার পরপরই থানা থেকে কয়েকজন পুলিশ এসে সব কিছু জেনেশুনে গেছে। ’ এদিকে আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে মণিরামপুর হাসপাতাল গেটে বৃদ্ধার গলা থেকে স্বর্ণের হার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক নারী ছিনতাইকারীকে ধরে গাছের সাথে বেঁধে রাখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। আটক নারীর নাম কুতুব চান। তিনি হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার জুনায়েদের স্ত্রী বলে জানা গেছে। তবে কুতুব চানের দাবি, তিনি ছিনতাইকারী নন। সাহায্য তুলতে তিনি এ এলাকায় এসেছেন। এদিকে মণিরামপুর হাসপাতাল গেটে নারী ছিনতাইকারীদের কবলে পড়া বাঘারপাড়া উপজেলার নারকেলবাড়িয়া গ্রামের বৃদ্ধা হামিদা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ের শাশুড়ি মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সকালে তাকে দেখে হাসপাতাল গেটে প্রধান সড়কে আসলে পিছন থেকে এক নারী আমাকে জড়িয়ে ধরে। এরপর গলা থেকে টান দিয়ে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। তখন আমি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে চেইন ছিনিয়ে নেওয়া নারীকে ধরে ফেলেন। তিনি আরো বলেন, ‘ছিনতাইকারীরা দলে চার নারী ছিল। লোকজন আসার আগেই চেইন নিয়ে দ্রুত তিন নারী পালিয়ে গেছে। হাসপাতাল গেটের ওষুধের দোকানের কর্মচারী ইমরান হোসেন বলেন, চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে এসে এক নারীকে ধরে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। পরে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে গেছে। ছিনতাইয়ের দুই ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে মণিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনা দুটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।